পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন জজ কোর্টেও জামিন পাননি।
৫ মে বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের ভার্চুয়াল আদালত আখতারের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস পাল।
গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সামনে থেকে আখতারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন তাকে দুই দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম)।
রিমান্ড শেষে গত ১৭ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম খান।
অপরদিকে আখতারের আইনজীবী শিশির মনির জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাকে কারাগারে রাখার আদেশ দেন।
এরপর আখতারের জামিন চেয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়।
মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল থানায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পুলিশ চিকিৎসা দিতে নিয়ে গেলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা তাকে জোর করে পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় একই দিনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন পল্টন মডেল থানার এসআই রায়হান কবির।
মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বর্তমান সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।